পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইনবক্স

 ইনবক্স  -শাড়ির প্রাইস? -চেক ইনবক্স -ইনবক্স প্রাইস বলার যায়গা? -মানে -মানে আর কি! ইনবক্সে তো মানুষ ভালোবাসার কথা বলে -কি সব বলছেন -শুধু কি প্রাইসই বলবেন? আর কিছু বলবেন না? -আর কিছু কি বলব? -ধরুন, "আমি কেমন আছি" -আপনি কেমন আছেন তা জেনে আমি কি করব -তাহলে "দুপুরে খেয়েছি কি না" -আশ্চর্য, আপনি কি শাড়ি নেবেন? -নিয়ে দেব কাকে? -তা আমি কি করে জানব? -আপনি নেবেন? -দেখুন পাবলিক গ্রুপে এভাবে কথা বলা ঠিক না -তাহলে ইনবক্সে আসুন -ইনবক্সে কেন যাব? -প্রাইস বলবেন না? -ভালো কথা পেচাতে পারেন আপনি -কথা কি শাড়ি না কি যে পেচাব ইনবক্স: -আপনার সমস্যা কি বলুন তো?  -কোনো সমস্যা নেই -তাহলে পাবলিক গ্রুপে এমন কেন করছেন? -আপনাকে ভালো লেগেছে। ভালোবাসবেন আমায়? -আপনাকে তো আমি চিনিই না -আমি মাসুম, মাস্টার্স, উর্দু বিভাগ -নামের সাথে তো কাজের মিল নেই -কেন? -নাম মাসুম অথচ মানুষকে ডিস্টার্ব করেন -প্রেম নিবেদনকে ডিস্টার্ব বলছেন? -অপরিচিত কাউকে প্রেম নিবেদন করলে সেটা তো ডিস্টার্বই হলো -বুঝলাম, আপনারও কিন্তু নামের সাথে কাজের মিল নেই -কেমন? -আপনার নাম সালমা নাওয়ার। এর অর্থ কি জানেন? -হ্যাঁ জানি, প্রশান্ত ফুল

চির অধরা

  -আমার বয়ফ্রেন্ড আছে -জানি -তাহলে? -ছেড়ে দাও -দিয়ে? -আমাকে বিয়ে করো -ঠাট্টা করছেন? -না, প্রস্তাব দিচ্ছি -আচ্ছা বিয়ে করলাম, তারপর? -নরওয়ে চল -নরওয়ে কেন? -সূর্য দেখব -সূর্য দেখতে নরওয়ে? -ওখানকার সূর্য তোমার মতো -কেমন? -অস্ত গেলেও দেখা যায় -সেটা আমার মতো হলো কি করে? -চোখের আড়াল হলেও তোমাকে দেখতে পাই -আপনার নেশা ধরেছে -ঠিক, তোমার নেশা -চিকিৎসা করান -তুমি করে দাও -আমি কি করে করব? -মনোবিজ্ঞান পড়ে কি শিখলে? -ফোবিয়া, ট্রমা, এডিএইচডি -এগুলোর মধ্যে আমার রোগ পড়ে না? -না -ভূয়া ছাত্রী তুমি -হা হা হা -হেসো না -কেন? -সুন্দরী মেয়েরা এভাবে হাসলে বাজে দেখায় -তাহলে ভালো দেখায় কখন? -রাগলে -আমাকে রাগতে দেখেছেন কখনো? -দেখেছি আর মুগ্ধ হয়েছি -অতিরিক্ত বলছেন -সত্য বলছি -আপনার সাথে কথা বলা যাবে না -বাংলা সাহিত্যের ক্ষতি করা কি ঠিক হবে? -আপনার সাথে কথা না বললে সাহিত্যের ক্ষতি কেন হবে? -তোমার সাথে কথা বললে আমি ছন্দ বুনতে পারি -তাতে আমার কি লাভ? -দেবীরা লাভ খোঁজে না -বাজে বকছেন -থামিয়ে দাও -কিভাবে? -বিয়ে করো আমায় -আপনি তো বেকার, বিয়ের পড়ে খাওয়াবেন কি? -আমি কেন খাওয়াব, তুমি খাওয়াবে -মানে? -তুমি চাকুরী করবে! -এই বল

বিষাদ

খয়েরি রঙের কার্ডটা টেবিলের উপর পড়ে আছে। রাজিভ এক পলক দেখল কার্ডটা। খামের ভেতর থেকে আমন্ত্রণপত্রটা বের করল। বামপাশের নামটা তার ভীষণ পরিচিত। কিন্তু ডানপাশের নামটা অপরিচিত। কার্ডের টাইটেল: আনিতা-জামানের শুভ বিবাহ। টাইটেল দেখে রাজিভের ভেতরটা ডুকরে উঠল। আনিতার সাথে ক'দিনের পরিচয়! এই তো, মাত্র সাড়ে চার বছর। প্রথম দেখাতেই ভালো লাগা। সচরাচর যা হয় আর কি। এরপর প্রেম নিবেদন। তাও একবার নয়, দু'দুবার। দু'বারই রিজেক্টেড। তারপর রাজিভ আর কোনো চেষ্টা করেনি। আর যাইহোক, ভালোবাসা তো আর জোর করে হয় না। কেন আনিতা রাজিভকে রিজেক্ট করেছিলো তা রাজিভ জানে না । তবে তারা দুজন ভালো বন্ধু হয়ে থাকবে এই আশ্বাস দিয়েছিলো আনিতা। রাজিভ আশাবাদী ছেলে। ভেবেছিলো এই বন্ধুত্ব হয়তো একদিন প্রণয়ে রূপ নিবে। এমন অনেক রাত গেছে রাজিভ ম্যাসেঞ্জারে আনিতার ম্যাসেজের অপেক্ষা করেছে। এই বুঝি আনিতা তাকে বলছে, "রাজিভ, তোমাকে আমি অনেক অপেক্ষা করিয়েছি। আর পারছি না। তোমার বাহুডোরে আমাকে আগলে ধরো। তোমার ভালোবাসার সুরা দিয়ে আমার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের পিপাসা মিটাও। আমাকে গ্রহণ করো, একটু প্রশান্তি দাও।" কিন্তু এসবই ছিলো রাজিভের কল্পনা