পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জারজ

“ তুই তো একটা জারজ সন্তান” এ কথা শুনতেই রকির নাক বরাবর কষে একটা ঘুষি বসিয়ে দিলো মানিক। সাথে সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেড় হতে লাগলো রকির নাক দিয়ে। মাঠে সবাই ভয় পেয়ে গেলো। সাহিদ বললো, -কি করেছিস মানিক? এতো রক্ত বের হয়ে গেলো -বেশ করেছি , শালা আমাকে বলে ”জারজ”। খেলার মাঠে একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রকি আর মানিকের মধ্যে ঝগড়া বাধে। মানিক বল করে, ব্যাটে থাকা সাহিদ আউট হয়। কিন্তু আম্পায়ার হিসেবে দাড়ানো রকি বলে নো বল। ব্যাস অমনিই মানিকের মাথা গড়ম হয়ে যায়। তর্কের এক পর্যায় যখন রকি মানিককে “জারজ” বলে গালি দেয়, অমনি ঘুষি বসিয়ে দেয় মানিক। এতক্ষণে রকির বাড়ি খবর পৌছে গেছে। রকির দাদা চেয়ারম্যান। গত নয় বছর ধরে সে এ দায়িত্ব পালন করে আসছে। সে যখন শুনেছে তার নাতি খেলার মাঠে মার খেয়েছে, তখনই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসছে। দেখবে কার এত বড় কলিজা যে চেয়ারম্যানের নাতির গায়ে হাত তুলেছে। চেয়ারম্যান হামিদ সিকদার স্কুলে এসেই গেল হেডমাস্টারের রুমে। তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেই হাক ছাড়লো যে, কার এত বড় সাহস যে সে তার নাতিকে মেরেছে। মানিক সামনে এসে বলল যে সে মেরেছে। মানিককে দেখতেই চেয়ারম্যানের মেজাজ বিগড়ে গেল। কিন্তু কিছু বলতে

ধর্ষকের আর্তনাদ

সনিয়াকে ফোন করে কাল সকালে ধানমন্ডি লেইকে আসতে বললো সাইফুল। প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেছে তাদের দেখা হয় না। সাইফুলের ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, এসাইনমেন্ট সব একসাথে থাকায় এই সপ্তহে দেখা করতে পারেনি তারা। সাইফুল রাজধানীর একটি সনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র। থাকে ধানমন্ডির সংকর এলাকায়। বাবা-মা ও বড় বোন সাহারা সহ তাদের একপ্রকার সুখী পরিবার। বাবা একটি রেস্টুরেন্টের মালিক। সনিয়ার সাথে সাইফুলের পরিচয় হয় ফেইসবুকের মাধ্যমে। সনিয়া ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী, বাসা জিগাতলা। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে রাজধানীর একটি কলেজে সে ভর্তি হয়েছে। ৩ বান্ধবী মিলে একটি সাবলেট বাসায় থাকে।  সনিয়ার সাথে ফেইসবুকে পরিচয় হয় সাইফুলের। এর একটা ইন্টারেস্টিং পটভূমি রয়েছে। তসলিমা নাসরিনের একটি বইয়ের রিভিউ নিয়ে একটি গ্রুপের কমেন্ট  সেকশনে তাদের মধ্যে তুমুল বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গ্রুপ মডারেটর কমেন্ট সেকশন অফ করে দিলে সাইফুল সনিয়াকে সরাসরি মেসেজে নক দেয়। প্রায় ২ ঘন্টা তর্কের পরে তারা একমত হয়। এরপর তাদের মধ্যে হায়, হ্যালো চলতে থাকে। এভাবে প্রায় তিনমাস চলে। সাইফুল একদিন সনিয়াকে দেখা করার কথা বলে, সনিয়া ক্লাস