পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তোমার আধ খাওয়া আপেল কিংবা আমার ছেড়া জুতো

  হঠাৎ কথা থামিয়ে সুজন রাজিবকে বললো, “ঐ দেখ, তোর ছোটবোন।” রাজিব সমাজবিজ্ঞান চত্বরের খিচুড়ির দোকানের দিকে তাকালো। এরপর একটা বিদঘুটে হাসি দিল। দোকানের পাশে চেয়ারে যে মেয়েটাকে রাজিব দেখেছে সে রাজিবের ছোটবোন না। সুজনের সাবেক প্রেমিকা, তৃষ্ণা। ছোটবোন বলার অবশ্য বিশেষ কারণ আছে। সে ব্যাপারে অন্য দিন আলোচনা করা যাবে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তৃষ্ণার সঙ্গে সুজনের প্রায় দশবার দেখা হয়েছে। শ্যাডো, কলাভবন, সমাজ বিজ্ঞান চত্বর কোথাও বাদ নেই। এই ভর দুপুরে মেয়েটা সমাজবিজ্ঞান চত্বরে শাড়ি পরে বসে আছে। শাড়ির রঙটা কী? এই যাহ, রঙ চিনতে পারছে না সুজন! অবশ্য তার কোনো প্রয়োজনবোধও করছে না। তৃষ্ণা এখনও চোখে কাজল পরে। দূর থেকে বুঝা যাচ্ছে। অবশ্য বেশ মানায়ও। দাঁত কেলাতে কেলাতে রাজিব বলল, “বন্ধু, সাবেক প্রেমিকার সামনে একটা বিড়ি না খাইলে কেমনে হইব?” কথাটা সুজনের মনে ধরল। অমনি উঠে গিয়ে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে টানা শুরু করল। এতক্ষণে তৃষ্ণা সুজন আর রাজিবকে খেয়াল করলো। সেই জোড়া, তখন তৃষ্ণা কলেজ ছাত্রী। আর সুজন, রাজিব অর্নাস ১ম বর্ষের ছাত্র। সুজনই রাজিবের সঙ্গে তৃষ্ণার পরিচয় করিয়ে দেয়। সালটা কত, ২০১৭। স্থান কেন্দ্রীয় শহী