পোস্টগুলি

জুন, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্যুট

 এই হতোচ্ছাড়া কামালটা কোথায় গেলো। সকালেই তো দেখলাম দোকান খোলা। একটাই স্যুট ছিলো, তাও আয়রন করতে দিয়ে গিয়েছি ওর কাছে। এদিকে টিএসসি থেকে বার বার ফোন আসছে। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিশেষ অতিথির ব্যক্তব্য দেওয়ার কথা আমার। কী যে করি! কামাল আমাদের গলির লণ্ড্রী দোকানদার। গলিতে আরো দুটো লন্ড্রী দোকান থাকলেও কামাল আমাকে বেশ সমীহ করে। দেখা হলেই বলে, "কী খবর সৌমিকদা? দেশের খবর ভালো?" আমি বিরক্ত হয়ে মনে মনে বলি, "তুই হতোচ্ছাড়া দেশের খবর দিয়ে কী করবি? কাপড়ের ভাঁজ ঠিক কর।" কিন্তু উপরি উপরি এমন ভাব করি যেন ওর প্রশ্ন শুনে আমি বেশ খুশি। দেশের দুই একটা কথা শুনিয়ে সকাল-বিকেলের চায়ের খরচাটা কামালকে দিয়ে দেওয়াই। আমি দোকানে আসলেই এক কাপ চা এনে দেবে। তাই ওর কাছেই জামা কাপড় ধোয়া থেকে আয়রনের কাজ করানো হয়। কিন্তু আজ হঠাৎ কামাল উধাও। পাশের সেলুন থেকে কামালের নম্বরটা নিয়ে কল দিলাম। ফোন রিসিভ করতেই বললাম, "কামাল, তোমার সৌমিক দা বলছি। কোথায় তুমি হে? আমার স্যুটটা যে লাগবে।" কামাল একটু গম্ভীর গলায় উত্তর দিলো, "সৌমিকদা, আমি হাসপাতালে আইছি। আমার বউয়ের বাচ্চা অইব। স্যুট

পায়েল

পেটের দিকে তাকিয়ে মাহবুব সাহেব বললেন, "মাসুম ভাই, আপনার পেট তো দিন দিন মহাদেশ হয়ে যাচ্ছে!" একথা শুনে আমি একটা বিদঘুটে হাসি দিলাম। তিন বছর হলো সরকারি দপ্তরে কেরানির চাকুরি করছি। চাকুরিতে ঢুকার মাস ছয়েক পর থেকেই টুকটাক ঘুষ খাওয়া শুরু করলাম। এখন পুরোদমে ঘুষ খাই। এই চাকুরির জন্য বাবার রেখে যাওয়া তেরো লক্ষ টাকা বলি দিতে হয়েছে।  সে টাকা তুলতে হবে তো! আর আমি তো ইচ্ছে করে ঘুষ খাই না। লোকজন দেয়, তাই আমি খাই। মোল্লারা খেলে হাদিয়া বলে, আমি খেলে ঘুষ!  বিয়ে করেছি দু'মাশ হলো। বউ দেখতে মন্দ না। তবে স্বভাব খারাপ। পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলে শুধু। হোটেলে খেতে বসলে ওয়েটারের সাথে শুরু করে দিবে। বাসের হেল্পার, বাসার দারোয়ান, গলির মুদি দোকানি, ধোপা, কেয়ার টেকার কেউ বাদ থাকে না। সবার সাথেই শালির কী ভাব! এটা দেখে আমার দাত খিটমিট করে উঠে। কিন্তু কিছু  বলতে পারি না। আমি অফিসে থাকলে আর কী কী করে খোদা জানে।  একদিন সাহস করে বিষয়টা মাহবুব সাহেবকে জানালাম। মাহবুব সাহেবের মতো জোচ্চোরের বউ নিয়মিত পর্দা করে। একাধিক পরকীয়র সাথে যুক্ত মাহবুব সাহেব। বউ কোনো দিনও টের পায়নি। বউ নিয়ন্ত্রণে পুরো অফিসে মাহবুব সাহেবে