পোস্টগুলি

ইনবক্স

 ইনবক্স  -শাড়ির প্রাইস? -চেক ইনবক্স -ইনবক্স প্রাইস বলার যায়গা? -মানে -মানে আর কি! ইনবক্সে তো মানুষ ভালোবাসার কথা বলে -কি সব বলছেন -শুধু কি প্রাইসই বলবেন? আর কিছু বলবেন না? -আর কিছু কি বলব? -ধরুন, "আমি কেমন আছি" -আপনি কেমন আছেন তা জেনে আমি কি করব -তাহলে "দুপুরে খেয়েছি কি না" -আশ্চর্য, আপনি কি শাড়ি নেবেন? -নিয়ে দেব কাকে? -তা আমি কি করে জানব? -আপনি নেবেন? -দেখুন পাবলিক গ্রুপে এভাবে কথা বলা ঠিক না -তাহলে ইনবক্সে আসুন -ইনবক্সে কেন যাব? -প্রাইস বলবেন না? -ভালো কথা পেচাতে পারেন আপনি -কথা কি শাড়ি না কি যে পেচাব ইনবক্স: -আপনার সমস্যা কি বলুন তো?  -কোনো সমস্যা নেই -তাহলে পাবলিক গ্রুপে এমন কেন করছেন? -আপনাকে ভালো লেগেছে। ভালোবাসবেন আমায়? -আপনাকে তো আমি চিনিই না -আমি মাসুম, মাস্টার্স, উর্দু বিভাগ -নামের সাথে তো কাজের মিল নেই -কেন? -নাম মাসুম অথচ মানুষকে ডিস্টার্ব করেন -প্রেম নিবেদনকে ডিস্টার্ব বলছেন? -অপরিচিত কাউকে প্রেম নিবেদন করলে সেটা তো ডিস্টার্বই হলো -বুঝলাম, আপনারও কিন্তু নামের সাথে কাজের মিল নেই -কেমন? -আপনার নাম সালমা নাওয়ার। এর অর্থ কি জানেন? -হ্যাঁ জানি, প্রশান্ত ফুল

চির অধরা

  -আমার বয়ফ্রেন্ড আছে -জানি -তাহলে? -ছেড়ে দাও -দিয়ে? -আমাকে বিয়ে করো -ঠাট্টা করছেন? -না, প্রস্তাব দিচ্ছি -আচ্ছা বিয়ে করলাম, তারপর? -নরওয়ে চল -নরওয়ে কেন? -সূর্য দেখব -সূর্য দেখতে নরওয়ে? -ওখানকার সূর্য তোমার মতো -কেমন? -অস্ত গেলেও দেখা যায় -সেটা আমার মতো হলো কি করে? -চোখের আড়াল হলেও তোমাকে দেখতে পাই -আপনার নেশা ধরেছে -ঠিক, তোমার নেশা -চিকিৎসা করান -তুমি করে দাও -আমি কি করে করব? -মনোবিজ্ঞান পড়ে কি শিখলে? -ফোবিয়া, ট্রমা, এডিএইচডি -এগুলোর মধ্যে আমার রোগ পড়ে না? -না -ভূয়া ছাত্রী তুমি -হা হা হা -হেসো না -কেন? -সুন্দরী মেয়েরা এভাবে হাসলে বাজে দেখায় -তাহলে ভালো দেখায় কখন? -রাগলে -আমাকে রাগতে দেখেছেন কখনো? -দেখেছি আর মুগ্ধ হয়েছি -অতিরিক্ত বলছেন -সত্য বলছি -আপনার সাথে কথা বলা যাবে না -বাংলা সাহিত্যের ক্ষতি করা কি ঠিক হবে? -আপনার সাথে কথা না বললে সাহিত্যের ক্ষতি কেন হবে? -তোমার সাথে কথা বললে আমি ছন্দ বুনতে পারি -তাতে আমার কি লাভ? -দেবীরা লাভ খোঁজে না -বাজে বকছেন -থামিয়ে দাও -কিভাবে? -বিয়ে করো আমায় -আপনি তো বেকার, বিয়ের পড়ে খাওয়াবেন কি? -আমি কেন খাওয়াব, তুমি খাওয়াবে -মানে? -তুমি চাকুরী করবে! -এই বল

বিষাদ

খয়েরি রঙের কার্ডটা টেবিলের উপর পড়ে আছে। রাজিভ এক পলক দেখল কার্ডটা। খামের ভেতর থেকে আমন্ত্রণপত্রটা বের করল। বামপাশের নামটা তার ভীষণ পরিচিত। কিন্তু ডানপাশের নামটা অপরিচিত। কার্ডের টাইটেল: আনিতা-জামানের শুভ বিবাহ। টাইটেল দেখে রাজিভের ভেতরটা ডুকরে উঠল। আনিতার সাথে ক'দিনের পরিচয়! এই তো, মাত্র সাড়ে চার বছর। প্রথম দেখাতেই ভালো লাগা। সচরাচর যা হয় আর কি। এরপর প্রেম নিবেদন। তাও একবার নয়, দু'দুবার। দু'বারই রিজেক্টেড। তারপর রাজিভ আর কোনো চেষ্টা করেনি। আর যাইহোক, ভালোবাসা তো আর জোর করে হয় না। কেন আনিতা রাজিভকে রিজেক্ট করেছিলো তা রাজিভ জানে না । তবে তারা দুজন ভালো বন্ধু হয়ে থাকবে এই আশ্বাস দিয়েছিলো আনিতা। রাজিভ আশাবাদী ছেলে। ভেবেছিলো এই বন্ধুত্ব হয়তো একদিন প্রণয়ে রূপ নিবে। এমন অনেক রাত গেছে রাজিভ ম্যাসেঞ্জারে আনিতার ম্যাসেজের অপেক্ষা করেছে। এই বুঝি আনিতা তাকে বলছে, "রাজিভ, তোমাকে আমি অনেক অপেক্ষা করিয়েছি। আর পারছি না। তোমার বাহুডোরে আমাকে আগলে ধরো। তোমার ভালোবাসার সুরা দিয়ে আমার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের পিপাসা মিটাও। আমাকে গ্রহণ করো, একটু প্রশান্তি দাও।" কিন্তু এসবই ছিলো রাজিভের কল্পনা

জান্নাতের বাগান

গত পরশু রাত তিনটা নাগাদ ঘুম ভেংগে গেলো। আমার দুই রুমমেটের ফোনে দরাজ কণ্ঠে ওয়াজ চলছিল। তাঁরা দুজনই আমার দুই পাশে। ঘুমের ঘোরে আমার কাছে মনে হলো বেহেস্তের বাগানে চলে আসছি। মনে মনে বলতেছি, হায় হায় শেষে কি গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণায় মরলাম! যাইহোক, কোনো প্রকার আগুনে না পুড়ে বেহেস্তে চলে আসছি এইটাই স্বস্তি। এরপর মাথায় আসল বেহেস্তী সরাবের কথা। দুনিয়ায় থাকতে এই একটা জিনিসের প্রতিই লোভ ছিলো। আমার খুব আফসোস হইত, বেহেস্তী সরাব হয়ত আমার কপালে নেই। কারণ দুনিয়ায় থাকতে অনেকেই আমাকে জাহান্নামের টিকিট ধরিয়ে দিয়েছিল। যেভাবেই হোক, বেহেস্তে তো আসছি। এবার সরাব ট্রাই করা যাক। হাক ডাক ছেড়ে সরাব চাইলাম। অন্ধকার থেকে এক ফেরেস্তা জিজ্ঞেস করল, দেশি না ফরেন? আমি একটু অবাক হলাম। বেহেস্তেও এসব আছে না কি! চিন্তা করলাম দুনিয়ায় তো টাকার অভাবে ফরেন খেতে পারিনি। ফরেনই খাওয়া যাক। এরপর ফেরেস্তা বলল, জ্যাক ডেনিয়েল, ভ্যাট সিক্সটি নাইন, হান্ড্রেড পাইপার্স, পাসপোর্ট স্কচ, ভেলেন্টাইন্স, ডিভা ভদকা, টাকিলা, স্যার পিটারসন কোনটা নিবেন? এবার তো মাথাই কাজ করতেছে না। এইসব ব্রান্ড তো দুনিয়ায় শুনছি। এরা বেহেস্তে কি করে আসলো। টাকা দিয়ে কি ব

গাঁজাখোার ও ফাকবয়

  প্রচলিত জনমত আছে, "মেয়েরা শুধু গাঁজাখোর ফাকবয়দের পছন্দ করে।" সব গাঁজাখোর ফাকবয় হয় না। সব ফাকবয় গাঁজা খায় না। অনেক ফাকবয়কে দেখতে নিতান্ত ভদ্র, সুশীল, মার্জিত, গোছালো মনে হয়। আমার বন্ধু শ্রাবণ(ছদ্মনাম), একজন স্বীকৃত ফাকবয় (বন্ধুমহল কর্তৃক)। আমার মতে এ ব্যাপারে তাঁকে হোগওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি দেওয়া উচিত। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে জে. কে রাওলিংসের সংঙ্গে ফেইসবুকে যুক্ত নই। একারণে অনুরোধ করতে পারছি না। তাই ডিগ্রিটা আটকে আছে। শ্রাবণ জীবনে একবার গাঁজা খেয়েছিল। গাঁজা খেয়েই না কি সেদিন সে আজরাইলের এপোয়েনমেন্ট পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঢাকার রাস্তায় যা জ্যাম! সোহরাওয়ার্দি উদ্যান থেকে বের হয়ে গাবতলি যেতে যেতেই টাইম ওভার। ঐ যাত্রায় আজরাইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি, তবে সাক্ষাতের আগের অনুভূতি শ্রাবণ আমাদের জানিয়েছিল। এ এক বিভৎস বর্ণনা। বর্ণনা শুনে ছোটভাই আব্দুর রহমান বলেছিল, "ভাই প্রথমবার এমন অনেকেরই হয়। আমিও প্রথম খাইয়া বমি করছিলাম। এহন তো প্যারা লাগে না।" ছোটাভাই একখান আমার। নাম আব্দুর রহমান, খায় গাঁজা। মাঝেমধ্যেই রাতবিরেত কল করে বলে, "ভাই একটা অন্যায় আবদার করম

সানফ্লাওয়ার

-আপনার ভয়েসটা মিষ্টি! -ফ্লার্ট করছেন? -না, ফ্যাক্ট বলছি -আইনি ব্যবস্থা নিলে কিন্তু শাস্তি পেতে পারেন। -পৃথিবীর অনেক বিজ্ঞানী ফ্যাক্ট বলার কারণে শাস্তি পেয়েছে, অপদস্থ হয়েছে। -নিজেকে বিজ্ঞানী ভাবেন? -তারচেয়ে বেশি কিছু। -যেমন? -বিজ্ঞানীরা পরিক্ষালব্ধ ফলে বিশ্বাসী। আমার পরীক্ষা করতে হয় না। -সেটা কি করে? -এই যে অনায়াসে বলে দিলাম আপনার ভয়েস মিষ্টি। বিজ্ঞানীরা তা ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা করে বলত মিষ্টি কি না। -আচ্ছা, ভালো তার্কিক আপনি -শুধু তাই না, অভিনেতাও বটে। আর আপনিও কম যান না। আচ্ছা আপনার নাম কি? -আপনাকে কেন বলব? -বলতে হবে না, আপনাকে আমি সানফ্লাওয়ার ডাকব -সানফ্লাওয়ার কেন? -এইযে ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিনে আপনার সাথে কথা হলো -আমি আপনার সাথে এতক্ষণ ধরে কেন কথা বলছি! -আটকে গেছেন! -কিসে -ফাঁদে -বেরুবার উপায়? -নেই -তাহলে? -চলুন বিশ্বরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করি -ভালো লাগে না -তাহলে মহাপ্রলয়? -ভয় হয় -যারা ভয় পায় তারা কাওয়ার্ড -আপনি আমাকে কাওয়ার্ড বলছেন? -স্পষ্টত -আমি কাওয়ার্ড নই! -আচ্ছা, বিয়ে করেছেন? -কেন? বিবাহিত হলে লাইন কেটে দেবেন? -আমি বিবাহিত-অবিবাহিত তফাত করি না। আমি শুধু মানুষ দেখি। বিয়ে করেছেন না কি?